প্রিয় শিক্ষার্থী আজকে আমরা ২০২৫ সালের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ পড়ব। বিশেষ করে যারা এবার চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে আজকে আমরা বাছাই করা কিছু এক কথায় প্রকাশ উল্লেখ করেছি।
নিচে চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যাকরণ অংশ হতে এককথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়।
এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে?
একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করাকে বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ বলে। বাক্যকে সুন্দর, সাবলীল এবং অর্থ প্রকাশের উজ্জ্বলতার জন্য বাক্য সংকোচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহুপদকে একপদে পরিণত করার মধ্য দিয়ে বাক্য বা বাক্যাংশের সংকোচনের কাজ চলে ।
নিচের অনুচ্ছেদটি লক্ষ কর:
লোকটি চার রাস্তার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত জলে ভেজা।
আমরা কথাগুলো এভাবেও বলতে পারতাম যে লোকটি চৌরাস্তার ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে। তার আপাদমস্তক জলে ভেজা। এভাবে বললে অর্থেরও কোনো পরিবর্তন ঘটে না, বলতেও সহজ ও দ্রুত হয়।
কথা বলার সময় আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বাক্য বা বাক্যাংশকে সংক্ষিপ্ত করে থাকি। বড় একটি বাক্য বা বাক্যাংশকে একটি শব্দে বা এককথায় বলি। অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্য বা বাক্যাংশকে ছোট করে প্রকাশ করাকে বাক্য সংকোচন বা এককথায় প্রকাশ বলে।
এক কথায় প্রকাশ চতুর্থ শ্রেণি সাজেশন ২০২৫
নিচে চতুর্থ শ্রেণি এককথায় প্রকাশের কিছু সাজেশন দেওয়া হলো:
- ছয়টি ঋতু = ষড়ঋতু
- মধুময় যে মাস = মধুমাস
- যা সহ্য করা যায় না = অসহ্য
- ঝিরঝির করে পড়ে যে বৃষ্টি = ইলশেগুঁড়ি
- রূপার মতো রং যার = রূপালি
- উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত = উত্তুরে
- দক্ষিণ দিক থেকে প্রবাহিত = দখিনা
- ভাগ্য সহায় যার = ভাগ্যবান
- লজ্জা বেশি যার = লাজুক
- ধূসর রং যার = ছাইরঙা
- দক্ষিণ দিক থেকে প্রবাহিত বাতাস = দখিনা হাওয়া
- হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি = ইলশেগুঁড়ি
- উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত বাতাস = উত্তুরে হাওয়া
- জিনিসপত্র কেনাবেচার জন্য যে হাটে যায় = হাটুরে
- যিনি চিনি বিক্রি বানান = ময়রা
- ভনভন শব্দ করে ওড়া = ভনভনিয়ে
- মানুষ কাঁধে বহন করে যে যান = পালকি
- দ্রুত লয়ে হাঁটা = হনহন
- দোকানে চাল, ডাল, তেল, লবণ বিক্রি করে যে = মুদি
- পরিশ্রমে কাতর যে = ক্লান্ত
- রাজার জন্য নির্মিত সিংহাসন = রাজসিংহাসন
- যিনি গোপনে খবর সংগ্রহ করেন = চর
- যিনি সেনানায়কদের পতি (প্রধান) = সেনাপতি
- মধু সংগ্রহ করে যে মাছি = মৌমাছি
- যা গোচর নয় (জানা নয়) = অগোচর
- যেখানে রাজার শাসন চালু আছে = রাজ্য
- নব বা নতুন অন্ন = নবান্ন
- যে ঢাক জয়ের পর বাজানো হয় জয় = ঢাক
- শিল্পকলাসম্পন্ন ব্যক্তি = শিল্পী
- বিশেষভাবে খ্যাত বা প্রসিদ্ধ = বিখ্যাত
- পাখি-কীট-পতঙ্গ জানোয়ারের বাসস্থান = বাসা
- বাঁশ বা পাতায় ছাওয়া দরিদ্রের ছোট ঘর = কুঁড়েঘর
- ইঁটের তৈরি বাড়ি বা দালান = অট্টালিকা
- পরম ও গভীর সুখ = মহাসুখ
- সত্যতা নির্ণয়ে অনিশ্চয়তা = সন্দেহ
- দমন করা যায় না এমন = অদম্য।
- যিনি আগে চলেন = অগ্রদূত।
- যাকে সবসময় মানুষ স্মরণ রাখে = চিরস্মরণীয়।
- বাড়ির ছাদের লাগোয়া ঘর = চিলেকোঠা।
- যাঁর অনেক জ্ঞান = জ্ঞানী।
- ভিন্ন জাতির = বিজাতীয়।
- যারা লোহা দিয়ে জিনিস তৈরি করে = কামার।
- মায়ের কাছে শেখা ভাষা = মাতৃভাষা।
- রক্তে যা পিছল হয়েছে = রক্ত-পিছল।
- সুন্দরবনে যারা মধু সংগ্রহ করে = মৌয়াল।
- মাংসই যার প্রধান খাদ্য = মাংসাশী।
৪র্থ শ্রেণির জন্য এক কথায় প্রকাশ (বিগত বছরের পরীক্ষায় আসা)
- সহ্য করার ক্ষমতা = সহনশীলতা
- মহান যে নারী = মহীয়সী
- অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম
- ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ
- নতুন আবিষ্কারের জন্য যাত্রা = অভিযান / অনুসন্ধান
- যে সব কিছু খায় = সর্বভুক
- দয়া আছে যার = সদয়
- যিনি শিক্ষা দান করেন = শিক্ষক
- বুদ্ধি আছে যার = বুদ্ধিমান
- শেষ নেই যার = অনন্ত
- যা বার বার দুলছে = দোদুল্যমান
- যিনি গান করেন = গায়ক
- যিনি সব কিছু সহ্য করেন = সর্বংসহ
- যে বিদেশে থাকে = প্রবাসী
- ময়ূরের ডাক = কেকা
- হাতির ডাক = বৃংহণ
- অশ্বের ডাক = হ্রেষা
- ভিজে মাটির গন্ধ = পেট্রিখোর
- অন্যের উপর নির্ভরশীল গাছ = পরগাছা
- যার মৃত্যু নেই = অমর
- যে বেশি কথা বলে = বাচাল
গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ চতুর্থ শ্রেণি
- যে নারী সুন্দরী = রামা
- কুমারীর পুত্র = কানীন
- দিনের পূর্ব ভাগ = পূর্বাহ্ন
- দিনের মধ্য ভাগ = মধ্যাহ্ন
- দিনের অপর ভাগ = অপরাহ
- দিবসের শেষ ভাগ- সায়াহ্ন।
- পুরুষের কটিবন্ধ= সরাসন
- দুই রথীর যুদ্ধ = দ্বৈরথ।
- হস্তির চিৎকার = বৃংহিত।
- গ্রন্থাদির টিকা = দীপিকা।
- জনকের কন্যা = জানকী
- জায়া ও পতি = দম্পতি
- যা জ্বলে উঠেছে = উদ্দীপ্ত।
- ধনুকের কানি = উদ্ধার
- শুকনো পাতার শব্দ= মর্মরি
- সমুদ্রের ঢেউ = উর্মি
- সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ = কল্লোল
- বাঘের চর্ম = কৃত্তি
- হরিণের চর্ম= অজিন
- ব্যাহের ছানা= ব্যাঙাচি।
- নীল বর্ণ পদ্ম = ইন্দিবর
- রক্ত বর্ণ পদ্ম = কোকনদ
- শ্বেত বর্ণ পদ্ম =পুররীক
- পদ্মের ডাঁটা বা নাল= মৃণাল
- ইন্দ্রের অশ্ব = উচ্চেঃশ্রবা
- ঘ্রাণের যোগ্য = মে
- ঈষৎ উষ্ণ =করোক।
- গদ্যপদ্যময় কাব্য = চম্প
- কাজ শিখছে যে = শিক্ষানবিশ।
- নাভি পর্যন্ত লম্বিত হার = ললন্তিকা।
- যার অনুরাগ দূর হয়েছে = বীতরাগ।
- যে মশাল বহন করে = মশালচী।
- যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা
- চর্বিত চর্বণ প্রক্রিয়া = রোমন্থন।
- যা মাটি ভেদ করে ওঠে =উদ্ভিদ
- যা কোথাও উঁচু কোথাও নীচু =বন্ধুর
- যা ধারণ বা পোষণ করে= ধর্ম
- রোদে শুকানো আম= আমশি
কমন উপযোগী এক কথায় প্রকাশ চতুর্থ শ্রেণি
- প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবিক্ষা
- পান করার ইচ্ছা = পিপাসা
- লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা
- খাইবার ইচ্ছা = ক্ষুধা
- যা সহ্য করা যায় না = দুর্বিষহ
- যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয়
- যা কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ
- যা সহজে দমন কর যায় না = দুর্দম
- জানিবার যোগ্য = জ্ঞাতব্য
- বরণ করিবার যোগ্য = বরেণ্য
- যা বলা হয়নি = অনুক্ত
- যা বলা হয়েছে = উক্ত
- যা বলা উচিত নয় = অকথ্য
- যা বলা হচ্ছে = বক্ষ্যমাণ
- যা বলা হবে = বক্তব্য
- যা প্রকাশ করা হয়নি = অব্যক্ত
- যে বেশি কথা বলে = বাচাল
- যিনি অধিক কথা বলেন না = মিতভাষী
- যিনি কম কথা বলেন = স্বল্পভাষী
- যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না = অনির্বচনীয়
- যা কথায় বর্ণনা করা যায় না = অবর্ণনীয়
- যা হবে = ভাবি
- যা ভবিষ্যতে ঘটবে = ভবিতব্য
- যা জয় করা যায় না = অজয়
- যা প্রতিরোধ করা যায় না = অপ্রতিরোধ্য
- কষ্টে করা যায় যাহা = কষ্টকর
- যা মূল্য দিয়ে বিচার করা যায় না = অমূল্য
- যার চক্ষু লজ্জা নেই = নির্লজ্জ / চশমখোর
- চোখে দেখা যায় এমন = চক্ষুগোচর
- অক্ষির সমীপে = সমক্ষ
- অর্থ নাই যাহার = নিরর্থক
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী আজকের এই পোষ্টে আমরা এক কথায় প্রকাশ চতুর্থ শ্রেণি সাজেশন ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি করছি এই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছো।

