Portugal visa cost

পর্তুগাল ভিসার দাম কত 2025 জানুন বিস্তারিত

পর্তুগাল ভিসার দাম আসলে ভিসা প্রসেসিং এর উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে। যেমন আপনি যদি পর্তুগালে যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে ক২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। পর্তুগাল ভিসাএছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে পর্তুগাল ভিসা তৈরি করা যায়। এজেন্সির উপর ভিত্তি করে পর্তুগাল ভিসার দাম সর্বোচ্চ প্রায় সাত লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

বর্তমানে পর্তুগাল সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিয়োগ অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।

প্রতিবছর কেউ কাজের উদ্দেশ্যে, আবার কেউ ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে, কেউবা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে স্বদেশ থেকে পাড়ি জমিয়ে বিদেশে রওনা হচ্ছেন। আর বর্তমানে আমাদের দেশ থেকে পর্তুগাল সরকার প্রচুর পরিমাণ জনশক্তি আমদানি করছে।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত

বর্তামানে পর্তুগাল বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। পর্তুগাল ভিসার দাম কত টাকা হবে তা সম্পূর্ণ ভিসার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে। যেমনঃ

Portugal visa cost

পর্তুগাল কোম্পানি ভিসার দাম

বর্তমান সময়ে এসে পর্তুগালে কোম্পানিতে চাকরির কাজের চাহিদা অনেক বেশি বিধায় পর্তুগাল কোম্পানি ভিসার দাম তুলনামূলক বেশি। আপনি যদি ২০২৫ সালে এসে পর্তুগাল কোম্পানি ভিসা করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।

পর্তুগাল ফ্যামিলি ভিসার দাম

পর্তুগাল উন্নত দেশ হিসাবে উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে পর্তুগাল ফ্যামিলি ভিসায় যাওয়া যায়। পর্তুগাল ফ্যামিলি ভিসার দাম ফ্যামিলি মেম্বারের উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে।

বর্তমানে মানে ২০২৫ সালে এসে আপনি যদি পর্তুগাল ফ্যামিলি ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসার দাম

বর্তমানে উন্নতমানের শিক্ষার জন্য পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা রয়েছে। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় দুই লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

পর্তুগাল কাজের ভিসাকেই মূলত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে মানে ২০২৫ সালে এসে আপনি যদি সরকারি ভাবে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে তৈরি করতে পারবেন সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা

ইউরোপের দেশ গুলো সৌন্দর্যের দিক থেকে বলতে গেলে অনেক সুন্দর। যার মধ্যে পর্তুগাল হচ্ছে অন্যতম একটি দেশ। যেখানে এমন কিছু স্থাপনা রয়েছে যার জন্য প্রতিটা দিন হাজার হাজার মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভিড় করে। আপনি যদি বাংলাদেশ টুরিস্ট ভিসার পর্তুগাল যেতে চান তাহলে ৪ লক্ষ উপরে খরছ হতে পারে। অনেকসময় পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।

পর্তুগাল মেডিকেল ভিসা

চিকিৎসার দিক থেকে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল অনেক উন্নত। বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার জন্য পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন তাদের খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা।

তবে আপনারা চাইলে পর্তুগাল ভিসার দাম কত জেনে পাশাপাশি রোমানিয়া ভিসার দাম কত তা আমাদের সাইটের ব্লগ পড়েই জানতে পারেন।

পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

পর্তুগালে গিয়ে আপনি যদি সেখানে প্রবাস জীওবন কাটাতে চান তাহলে সেকাহ্নে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে বৈধ ভিসা তৈরি করে যাওয়া।প্রথমেই আপনাকে সেখানে যাওয়ার জন্য বরাবরের মত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমা সময়ে এসে আপনি চাইলে অনলাইন এবং অফলাইন ২ মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এই নিয়ে টেনশনের কোন কারণ নেই সেই সুযোগ রয়েছে।

আপনি যদি অনলাইনে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের একটি ফরম দেয়া থাকবে সেটি পূরণ করা লাগবে, আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন ফি পরিশোধ করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানক সময়ে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে ভিসা এবং বিমানের ক্যাটাগরি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরির খরচ মিলিয়ে সর্বনিম্ন প্রায় ৯ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

তবে আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে পারেন তাহলে অনেক অল্প খরচে পর্তুগাল যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনার সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

পর্তুগাল বেতন কত

শুধুমাত্র পর্তুগালের ক্ষেত্রে নয় মূলত প্রতিটা দেশে কাজের ধরণ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করে থাকে। বর্তমানে পর্তুগালে যেগুলো কাজ একেবারেই সাধারণ সেসব কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শ্রমিক রয়েছেন তাদের বেতন বলতে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে। কেননা পর্তুগালে একজন অভিজ্ঞত শ্রমিকের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত টাকা তা ভিসার ক্যাটাগরি, এজেন্সি এবং ভিসা তৈরির প্রসেসের উপর নির্ভর করে কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। তবে পর্তুগাল কাজের ভিসার দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কম খরচে পর্তুগাল ভিসা তৈরি করা যায়। তবে সরকারি ভাবে পর্তুগাল ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন।

পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি

পর্তুগালে মূলত এ ধরণের কাজগুলোতে বেশ ভালো পরিমাণ ডিমান্ড রয়েছে। আপনার যদি এসব কাজের সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তবুও আমি বলব আপনি সেখানে এই কাজগুলো করতে পারেন। তবে বিশেষ করে যারা বিশেষ কিছু কাজে দক্ষ বা যোগ্যতা সম্পন্ন রয়েছেন যেমন- কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইত্যাদি বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকলে এই কাজের জন্য আপনাদের রয়েছে বিশাল সুযোগ ও অপরচুনিটি।

পর্তুগালে দক্ষ অভিজ্ঞ শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, পর্তুগালে কোন কাজের বেতন কত তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। তবে আপনারা চাইলে পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে পাশাপাশি তুরস্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আমাদের সাইটের ব্লগ পড়েই জানতে পারেন।

পর্তুগালে কোন কাজের বেতন কত

আমরা আশা করছি উপরের অংশ থেকে আপনারা পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে গেছেন। এবার চলুন  পর্তুগালে কোন কাজের বেতন কত বা পর্তুগালে কাজের জন্য গেলে কেমন বেতন পাওয়া যাবে তা জেনে নেওয়া যাক। মূলত পর্তুগালে কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন দিয়ে থাকে। তবে যদি আপনার কাজের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে পর্তুগালে কয়েক ধরনের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই পর্তুগালের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবার চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পর্তুগালে কোন কাজের বেতন কত।

কনস্ট্রাকশন, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, ড্রাইভিং, সেফ ও কৃষি কাজঃ পর্তুগালে অন্যান্য কাজের তুলনায় এইসব কাজের চাহিদা এবং বেতন অনেক বেশি। বর্তমানে এইসব কাজের বেতন পর্তুগালের টাকায় ১,৫০০ ইউরো থেকে ৩,০০০ ইউরো পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে মাসে বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তবে কাজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের ক্যাটাগরি যদি ভাল হয় তাহলে ৩,২০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায় কি

অনেক ভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তারমধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি অনলাইনে আবেদন করা। এছাড়াও, আপনি এজেন্সি এবং পরিচিত কারো মাধ্যমেই যেতে পারেন।

পর্তুগাল ভিসার দাম সম্পর্কে লেখকের মতামত

এখন প্রত্যেকটা বাঙালির স্বপ্ন থাকে বড় কোন রাষ্ট্রে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে এখন মানুষ পর্তুগালে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চায়। কিন্তু তাদের পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং পর্তুগাল ভিসার দাম কত সম্পর্কে জানা থাকে না।

তাই আজকের পোস্টে পর্তুগাল ভিসার দাম কত এবং পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। আশা করি আপনারা ২০২৫ সালে পর্তুগাল ভিসার দাম কত তা জানতে পেরেছেন। এরকম আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।